করোনাভাইরাসটিকার অপেক্ষায় না থেকে করোনা হয়ে যাওয়া ভালো নয় কি?


করোনাভাইরাস
টিকার অপেক্ষায় না থেকে করোনা হয়ে যাওয়া ভালো নয় কি?
করোনা থেকে সুরক্ষা পাওয়ার জন্য লকডাউন, সারাক্ষণ মাস্ক পরে থাকা ইত্যাদি বেশ কঠিন। অনেক মানুষ বেকার হয়ে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই অনেকে ভাবতে পারেন, কাজকর্ম চালিয়ে যাওয়াই ভালো। এতে করোনা হয়ে যদি সুস্থ হয়ে ওঠা যায়, তাহলে তো ন্যূনতম প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবেই। এ কারণে আমাদের দেশসহ অনেক দেশে মানুষ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে চায় না বা আয়-উপার্জনের ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার জন্য মনে করে কিছু হবে না, হলেও সুস্থ হয়ে ওঠা যাবে। এটা ভুল ধারণা। একবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে জীবনের ঝুঁকি থাকবেই এবং শেষ পর্যন্ত হয়তো সুস্থ হয়ে ওঠা সম্ভব না। আমাদের দেশেই তো এখন প্রতিদিন রক্ত পরীক্ষা করার পর সংক্রমণের হার ১০-১২ শতাংশ পাওয়া যায়, প্রতি ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ২০-৩০ জন মারা যান। তাই আমাদের সব সময় টিকা না দেওয়া পর্যন্ত মুখে মাস্ক, কিছু সময় পরপর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং ভিড় এড়িয়ে চলা প্রভৃতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা দরকার। কারণ, করোনার ঝুঁকি একজনের মৃত্যু ডেকে আনতে পারে।

তাহলে কত দিন অপেক্ষা করতে হবে?
একটি মৌলিক প্রশ্ন। এর উত্তর নিশ্চিতভাবে বলার সুযোগ নেই। অবশ্য অনেকে মনে করেন, আগামী মাস ছয়েকের মধ্যে বা অন্তত ২০২১ সালের মধ্যে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। এই সময়টুকু আমাদের নিরাপদে থাকার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। রুটিরুজির ব্যবস্থাও করতে হবে। কিন্তু এই দুটি কি একসঙ্গে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব? বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মোটামুটি সম্ভব। যদি বাইরে চলাফেরার সময় সবাই, মানে প্রতিটি ব্যক্তি মুখে মাস্ক ব্যবহার করি ও সাবান পানি দিয়ে বারবার হাত ধোওয়ার চর্চা আয়ত্ত করি, তাহলে অন্তত ৮০-৯০ ভাগ ঝুঁকি কমানো সম্ভব। আর যদি জনে জনে ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে পারি, তাহলে আরও নিরাপদ থাকব

Advertisement

Leave a Comment

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s